তিউনিসিয়া উপকূলে নিহত ৮ বাংলাদেশির লাশ মর্গে
- আপলোড সময় : ০৩-০৫-২০২৪ ০১:৪৫:৪৭ অপরাহ্ন
- আপডেট সময় : ০৩-০৫-২০২৪ ০১:৪৫:৪৭ অপরাহ্ন
ভূমধ্যসাগর হয়ে ইউরোপ যাওয়ার চেষ্টাকালে তিউনিসিয়া উপকূলে নৌকাডুবিতে প্রাণ হারানো আট বাংলাদেশির মরদেহ বৃহস্পতিবার দুপুরে দেশে পৌঁছেছে। মামলা হওয়ায় সুরতহাল প্রতিবেদন ও ময়নাতদন্তের আগে মরদেহ হস্তান্তর করতে নারাজ পুলিশ। এতেই ক্ষিপ্ত হন স্বজনরা, শুরু করেন বিক্ষোভ, কান্নাকাটি। ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কয়েকঘণ্টা পড়ে থাকে মরদেহগুলো। বিকেলে স্বজনদের বাধা উপেক্ষা করে মরদেহগুলো ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে নেয় পুলিশ
ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপ যাওয়ার চেষ্টাকালে তিউনিসিয়া উপকূলে নৌকাডুবিতে নিহত ৮ বাংলাদেশির লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) মর্গে পাঠিয়েছে বিমানবন্দর থানা পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে দিকে বিমানবন্দর থানা পুলিশ পৃথকভাবে ৮টি মরদেহের কফিন ঢামেক মর্গে পাঠায়। বিমানবন্দর থানার ওসি মোহাম্মদ ইয়াসির আরাফাত খান বলেন, নৌকাডুবিতে নিহতদের লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। শুক্রবার ৮ মরদেহের ময়নাতদন্ত হবে। গত মঙ্গলবার লিবিয়ায় নিযুক্ত ও তিউনিসিয়ার অনাবাসিক দায়িত্বে থাকা বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল অব. আবুল হাসনাত মুহাম্মাদ খায়রুল বাশারের উপস্থিতিতে মিশনের কর্মকর্তারা লাশগুলো তিউনিস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে হস্তান্তর করেন। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি ভোরে দুর্ঘটনার পরপরই ত্রিপোলির বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তারা তিউনিসিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং স্থানীয় নগর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করে মরদেহের সুরতহাল, শনাক্তকরণ, দেশি সংস্থার মাধ্যমে পরিচয় নিশ্চিত করা, মৃত্যু এবং মেডিকেল সনদ ইস্যু সম্পন্ন করেন। এর পাশাপাশি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আফ্রিকা উইং লাশ ফিরিয়ে আনতে আন্তঃমন্ত্রণালয় সমন্বয় করে। স্বরাষ্ট্র এবং আইন মন্ত্রণালয়ের সহায়তা এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যয়ভার মেটানো হচ্ছে বলে জানান দূতাবাসের কর্মকর্তারা। ৮ নিহতের মধ্যে সজল, নয়ন বিশ্বাস, মামুন শেখ, কাজী সজীব ও কায়সার খলিফা মাদারীপুর জেলার এবং রিফাত, রাসেল ও ইমরুল কায়েস আপন গোপালগঞ্জ জেলার বাসিন্দা ছিলেন।
কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ
